অগ্রসর রিপোর্ট: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর কিছু সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে বিগত তিন মাসে মানবাধিকর বিষয়ে এলিট ফোর্সের কর্মকান্ডে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, ‘আমরা গত তিন মাস ধরে এসব (মানবাধিকার) বিষয়ে অগ্রগতি লক্ষ্য করেছি।’
এখানে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় ৮ম ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’ বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংকালে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘জটিল ও কঠিন ইস্যু’ হিসেবে অভিহিত করে আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা ইস্যুটি সমাধানের লক্ষ্যে ঢাকার সাথে কাজ করবে। ‘কারণ আমাদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নুল্যান্ড বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ইস্যু সমাধানে ঢাকার পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি সংলাপ অনুষ্ঠানে একটি নথি পেয়েছেন।
মাসুদ বলেন, ঢাকা এ সংলাপকালে র্যাবের সর্বশেষ অবস্থান ও কার্যক্রম এবং নিষেধাজ্ঞা ইস্যুটি সমাধানে সরকারের কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য দিয়েছে। ‘আমরা কয়েকটি ফরম্যাটে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের এই আলোচনা চালিয়ে যাব এবং যথাযথভাবেই এই ইস্যুটির সমাধান হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা ও মানবিক মর্যাদার অভিন্ন মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার অঙ্গীকারের পাশাপাশি জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বহুমুখী সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে।
মাসুদ বলেন, দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব গঠনে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি বাংলাদেশের উচ্চাকাক্সক্ষা রয়েছে।
সচিব আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে দেখা করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।