পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত চিও তিনের সঙ্গে আলোচনার সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রাখাইন মুসলমানদের মিয়ারমানের নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। মিয়ানমারের বিশেষ দূত প্রস্তাবটি তার দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
গত অক্টোবরে মিয়ানমারে ৩টি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলার পর সামরিক অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।
এ প্রেক্ষাপটে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দুই দফা তলব করে পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্েযাগী হওয়ার তাগিদ দেয়া হয় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।
নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশমুখী রোহিঙ্গা স্রোত নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মধ্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বিশেষ দূত হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকা আসেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উ চ থিন। বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশেষ দূতের সফর দুই দেশের মধ্যকার জটিল বিষয়ে আলোচনার পথ সুগম করবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে।
মন্ত্রী জানান, বৈঠকে রাখাইন রাজ্যে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকরা পূর্ণ নিরাপত্তা ও জীবিকার নিশ্চয়তাসহ দ্রুত নিজ আবাসে ফিরে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর গণহারে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও মূল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার জন্য মিয়ারমানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে এ সমস্যা বারবার তৈরি না হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরের পর থেকে এখনো পর্যন্ত দেশে ৬৫ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া ৩ লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।