গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার অর্থচুরির ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপরিচালক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহ আলম এ ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ভেতরের লোকদের অর্থ চুরিতে সহযোগিতার উদাহরণ দিতে গিয়ে শাহ আলম চুরির ঘটনার কয়েক মাস আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অর্থলনদেন নেটওয়ার্ক ‘সুইফটের’ নিরাপত্তা পাসওয়ার্ড এর সার্ভারে ঢুকানো অবস্থায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিদিনের কাজের সময় শেষে এই পাসওয়ার্ড মুছে ফেলে তা সুরক্ষিত ভল্টে লক (তালাবদ্ধ) করে রাখার কথা।
শাহ আলম বলেন, পাসওয়ার্ডের টোকেন মুছে ফেলার ব্যর্থতার সুযোগই নজরদারি না হওয়ার সময়টিতে হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সিস্টেম প্রবেশ করার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। প্রথমে হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার দিয়ে সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে অর্থ হস্তান্তরের ভূয়া নির্দেশনা ইস্যু করে।
অর্থ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরকার কেউ অবহেলা ছাড়া আর কোনওভাবে দোষী নয় বলে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করার কয়েক মাস পর পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম এ মন্তব্য করলেন। নিউইয়র্ক ফেডারেলে সংরক্ষিত বাংলাদেশের অর্থ চুরি করে তা ফিলিপাইনের কয়েকটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছিল হ্যাকাররা। অর্থচুরির ঘটনায় শাহ আলম যে দাবি করছেন তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সংবাদ সংস্থাটির কাছে তিনি সন্দেহভাজন কারও নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। আর শাহ আলমও তার দাবির স্বপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেখাননি। এর আগে, গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের ধানমন্ডির বাসভবনে গিয়েছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রিজার্ভ চুরির মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সিআইডি আতিউর রহমানের ধানমন্ডির বাসভবনে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।