ভিসেন্তে কালদেরনে ম্যাচের শুরুতেই একক নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের হতবাক করে দেন সুয়ারেস। হাভিয়ের মাসচেরানোর বাড়ানো বল মাঝমাঠে পেয়ে আশেপাশে থাকা চার জন খেলোয়াড়কে কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে ক্ষিপ্র দৌড়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ২৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হারায় বার্সেলোনা। নেইমার ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ-পাশে সুয়ারেসকে বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শট না নিয়ে সতীর্থকে ফিরতি পাস দেন, প্রস্তুত ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। বল তার পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
ছয় মিনিট পর মেসি জাদুতে স্কোরলাইন ২-০ হয়। ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল ধরে দুই পা আড়াআড়ি এগিয়ে ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ‘ট্রেডমার্ক’ শটে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা। উঁচু কোনাকুনি শট বাঁ দিকের পোস্টে লেগে জালে জড়ায়।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া দিয়েগো সিমেওনে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মিডফিল্ডার ভারসালিকোকে বসিয়ে ফের্নান্দো তরেসকে নামান। ৫০তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর সহজ সুযোগও পায় তারা। কিন্তু এই বদলি ফরোয়ার্ডের পাস ছয় গজ বক্সের সামনে ফাঁকায় পেয়েও শট নিতে দেরি করে ফেলেন সাউল। ৫৯তম মিনিটে গ্রিজমানের নৈপুণ্যে লড়াইয়ে ফেরে স্বাগতিকরা। বাঁ-দিক থেকে দিয়েগো গদিনের হেড করে ছয় গজ বক্সে বাড়ানো বল ফিরতি হেডে জালে জড়ান ফরাসি তারকা।
পরের ছয় মিনিটে আরও তিনটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে আতলেতিকো; কিন্তু সাফল্য মেলেনি। এর মধ্যে গ্রিজমানের খুব কাছ থেকে নেওয়া একটি শট কোনোরকমে পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক সিলেসেন।
৭৬তম মিনিটে গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় আতলেতিকো। মেসির অসাধারণ বাঁকানো ফ্রি-কিক শেষ মুহূর্তে মোইয়ার আঙুল ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। পরের মিনিটেই আর্জেন্টাইন তারকার দুজনকে কাটিয়ে বাড়ানো পাস ফাঁকায় পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে উঁচিয়ে মারেন নেইমার।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে শেষ ১০ মিনিটে দারুণ জমে ওঠে লড়াই। মাসচেরানোর ভুলে বল পেয়ে তরেসের নেয়া নিচু শট ক্রসবার ঘেষে চলে যায়। আর বিনা বাধায় নেয়া গদিনের হাফ-ভলিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সমর্থকদের সামনে হারের হতাশায় মাঠ ছাড়ে সিমেওনের শিষ্যরা।