অগ্রসর রিপোর্ট: ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামার আগে সর্বোচ্চ গোলতাদার তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মেসি পেয়েছেন দুটি গোল, অন্যদিকে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন এমবাপ্পে। আর তাতেই মেসিকে পেছনে ফেলে কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জিতলেন এমবাপ্পে।
কাতার বিশ্বকাপে মোট আটটি গোল করে করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন এমবাপ্পে। এ তালিকায় সাতটি গোল করে দুই নম্বরে রয়েছে ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। চারটি করে গোল করে তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন জুলিয়ান আলভারেজ ও ওলিভার জিরুড।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে ফ্রান্স। ম্যাচটিতে ৪-১ গোল ব্যবধানে জেতে ফরাসিরা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে ম্যাচের চতুর্থ ও নিজের প্রথম গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল ডেনমার্ক। সেদিন ২-১ গোলে জেতে ফ্রান্স। দুটি গোলই করেন উদীয় এই তারকা ফুটবলার। তৃতীয় ম্যাচে তিউনিসিয়ার কাছে হারের দিনে পাননি গোল।
দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। সেদিন রবার্তো লেভানডোস্কির পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ফরাসিরা। ওই ম্যাচে ৭৪তম ও ৯০তম মিনিটে দুটি গোল করে বড় জয় অবদান রাখেন এমবাপ্পে। কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে জয় পেলেও গোলের দেখা পাননি ২২ বছর বয়সী এই তারকা।
শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনার সঙ্গে অনেকটা নিষ্প্রভ ছিল ফ্রান্স। ম্যাচের প্রথমার্ধেই মেসি ও ডি মারিয়ার করা গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের ৮০তম মিনিট পর্যন্ত পিছিয়েই ছিল দিদিয়ের দেশামের শিষ্যরা। কিন্তু এমবাপ্পের দুই মিনিটের ঝড়ে প্রাণ খুঁজে পায় ফ্রান্স।
ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফরাসিরা। স্পট কিক থেকে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন এমবাপ্পে। পরের মিনিটেই আসে আরও এক গোল। সতীর্থেই দেয়া পাসে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। আর ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের সময় মেসির গোলে ফের একবার লিড নেয় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে দমে থাকার পাত্র নন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার এমবাপ্পে। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে পেনাল্টি কিক থেকে গোল করে নিজেদের ব্যবধান ৩-৩ করেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে এবারের আসরের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকে তুলে নেন তিনি। যদিও দলকে শিরোপা এনে দিতে পারেননি এমবাপ্পে।