আজ সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করেন বলে জানান আইনজীবী লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, আপিলটি সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করা হয়েছে। ৭২ পৃষ্ঠার আপিলের সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়সহ সাড়ে ৫০০ পৃষ্ঠার বেশি নথিপত্র রয়েছে। তিনি বলেন, আপিলে তাকে খালাস দেয়ার আরজি জানানো হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পেপারবুক দ্রুত প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন।
১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অপর ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর দুই মামলায় নিম্ন আদালতের রায় ও নথিপত্র ২২ জানুয়ারি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। সেদিনই তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
আইনজীবীদের মতে, নিম্ন আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এটি ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা হিসেবে পরিচিত। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করার সুযোগ পান। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে। ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুকে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও নিম্ন আদালতের রায় পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে।