অগ্রসর রিপোর্ট : মুদ্রা পাচার মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাজা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
আলোচিত এ মামলায় ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ থেকে ঘোষিত ৮২ পৃষ্ঠার রায় আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
হাই কোর্টের এই দ্বৈত বেঞ্চ ওইদিন সংক্ষিপ্ত রায়ে নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেককে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন।
সেই সঙ্গে তারেকের বন্ধু মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা এ মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয়েছিল ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারেক যুক্তরাজ্য থেকে না ফেরায় তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এরপরও তারেক সাড়া না দেওয়ায় তাকে পলাতক ঘোষণা করেন আদালত। পরে গত ৪ মে হাইকোর্টে দুদকের আপিল ও কারাদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে মামুনের আপিলের একসঙ্গে শুনানি হয়।