মানববন্ধনে নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির জানান, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি রায়ে যুদ্ধাপরাধীদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা শহীদ পরিবারকে দিতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে আইন না থাকায় এটা তারা দিতে পারছেন না। এজন্য আইন সংশোধনের দাবি জানান তিনি। গত ৩ বছর ধরে আমরা বলছি আইন সংশোধন করুন। এদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। কারণ এরা হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে রেখেছে, শহীদ পরিবারগুলো রাস্তায় ভিক্ষা করছে। এটা বাংলাদেশে মেনে নিতে পারছি না। যারা বাংলাদেশ চায়নি, তাদের জমি কেন বাংলাদেশে থাকবে বলেও প্রশ্ন তোলেন শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে নুজহাত চৌধুরী।
মেয়র বলেন, আমি দেখছি হাজার হাজার বিঘা জমি একটি স্থিতাবস্থার সুযোগ নিয়ে দখল করে আছে। প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের দাবি, একটি আলাদা কমিশন গঠন করুন। যেসব জমি প্রভাবশালীরা আটকে রেখেছে, সেগুলো মুক্ত করে দিন। আমি মেয়র হয়ে দেখছি ঢাকা শহরের হাজার হাজার বিঘা জমি প্রতাপশালী-প্রভাবশালী লোকেরা দখল করে রেখেছে। গরীব হকাররা রাস্তা দখল করলে তাদের তাড়ানো যায়। কিন্তু বড়লোকরা পুলিশকে তাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সেই যুদ্ধে নেমেছে।
প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর হামলায় নিহত মোনায়েম খানের উত্তরাধিকাররা বানানীর ওই বাড়ি সংলগ্ন সরকারি ১০ কাঠা জমি দখল করে রেখেছিলেন। গত ৩ নভেম্বর ওই দখলদারদের উচ্ছেদ করে উত্তর সিটি করপোরেশন। সেসময় মেয়র আনিসুল চিহ্নিত এ স্বাধীনতাবিরোধীর বাড়ির বরাদ্দ বাতিলে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর গত বুধবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, বাড়িটির বরাদ্দ বাতিলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।