অগ্রসর রিপোর্ট : ভেজাল প্যারাসিটামল পানে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় রিড ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক মিজানুর রহমানসহ ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এম আতোয়ার এ রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রিড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী পরিচালক শিউলি রহমান, পরিচালক আবদুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক।
রায়ের সময় আসামির মধ্যে রিড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক শিউলি রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর কোম্পানির পরিচালক আবদুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক পলাতক।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সঠিক নিয়ম মেনে জব্দ তালিকা ও পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেননি। মামলা দায়েরের সময় যেসব পদেক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিল, তা না নেয়ায় তার অযোগ্যতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হয়।
২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ পানে সারাদেশে ২৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলে ১০ আগস্ট ঢাকার ঔষধ আদালতে এ মামলা হয়।
তৎকালীন ড্রাগ সুপার শফিকুল ইসলাম মামলা করার পর সেদিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রিড ফার্মার বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা হয়।
মিজানুর রহমান ওই বছরের ১২ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার তৎকালীন জজ এ এন এম বশিরউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিউলি হাইকোর্ট জামিন পান। অন্য তিন আসামি পলাতক থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, রিড ফার্মার প্যারাসিটামলে বিষাক্ত উপাদানের কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ওই প্যারাসিটামলে ডাই ইথানল গ্লাইকল পাওয়া যায়নি। তবে ওই ওষুধ ছিল নিম্নমানের।
আলোচিত এ মামলার বিচারকালে বাদী শফিকুল ইসলাম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক এ আর খান, একই হাসপাতালের উপ-পরিচালক এইচ এস কে আলম, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, একই অধিদফতরের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবের সহকারী বিশ্লেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।