কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও টানা বর্ষণের ফলে সোমবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার খানেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে এবং দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতের ক্ষত শেষ না হতে ফের বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে টেকনাফবাসী।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র অতিক্রম করার সময় আঘাতে হানে টেকনাফকে লন্ডভন্ড করে দেয়। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, গত দুইদিন ধরে নৌচলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার স্টেশনের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং উপকূলের সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাত্রী ও মালপত্র পারাপার, ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে কোনো নৌচলাচল করতে পারছে না।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারেনি অনেক ব্যবসায়ী।টেকনাফ সদরের বাসিন্দা নূর হাকিম বলেন, আমাদের কষ্টের ওপর কষ্ট যাচ্ছে। কিছুদিন আগে মোরা’র আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। একটা সম্বল ছিল আমার একটি ঘর। সেই ঘর এখনো টিক করতে পারেনি। কোনো মতে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে থাকলেও গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে সেটাও শেষ।
টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজান মিয়া সমকালকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মেরা’র আঘাতের ১৪ দিনের মাথায় আবারো টেকনাফের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত দুইদিন ধরে টানা বর্ষণে আমার নির্বাচনীয় এলাকায় প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের খোঁজ খবর নিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক সমকালকে বলেন, সর্তক সংকেত থাকায় মাছ ধরার কোনো নৌকা ও ট্রলারকে বঙ্গোপসাগরে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি উপকূলের লোকজনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।