স্টাফ রিপোর্টার: বুরকিনা ফাসোর রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার আলকায়েদা জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। হোটেলটিতে এখনো আরো অনেককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
হোটেলটি জাতিসংঘের কর্মী ও পশ্চিমাদের কাছে খুবই প্রিয়।
হামলাকারীরা ওউয়াগাদেওগুয়ার চারতলা স্পেøন্ডিড হোটেলের মূল প্রবেশ পথে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময়ে হোটেলের ভেতর থেকে আর্তচিৎকার শোনা গেছে। হামলা শুরুর পাঁচ ঘন্টা পরও হামলাকারীদের হাতে বেশ কয়েকজন জিম্মি ছিল।
বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কর্মকর্তারা জানান, ফরাসী বাহিনীও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হোটেলে এই পাল্টা হামলায় অংশ নিতে পারে।
মালির রাজধানী বামাকোর বিলাসবহুল রেডিসন ব্লু হোটেলে নভেম্বরে জিহাদিদের জিম্মি ঘটনার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সর্বশেষ হামলার ঘটনাটি ঘটল। বামাকোর ওই ঘটনায় ১৪ বিদেশীসহ ২০ জন প্রাণ হারায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলফা ব্যারী বলেন, ‘হোটেলটিতে হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং সেখানে অনেককে জিম্মি করেও রাখা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের মুক্তি করার অপেক্ষায় রয়েছে।’
ওউয়াগাদোউগোউয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে অবস্থিত হোটেলটির কাছের রাস্তার প্রায় ১০টি গাড়িতে আগুন ধরে গেছে।
নগরীর প্রধান হাসপাতালের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা এখনো হোটেলের ১৪৭ নম্বর কক্ষটি দখল করে রেখেছে।
হোটেলের উল্টো দিকে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁতেও হামলা চালানো হয়।
হোটেলের এক কর্মী টেলিফোনে জানান, এই হামলায় বেশ কয়েকজন লোক নিহত হয়েছে।
মার্কিন ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা এসআইটিই জানিয়েছে, আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরিব (একিউআইএম) এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।