অগ্রসর রিপোর্ট : ইলিউম জানায়, টেস্টটির ফল জানতে ফোনে একটি অ্যাপ নামাতে হবে। সেখান থেকেই ফল জানা যাবে। অ্যাপটি টেস্টের ফলটি জিপ কোড দিয়ে ক্লাউডে পাঠিয়ে দেয়। যেন স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ফলটি জানতে পারে এবং তা গোপন থাকে। এফডিএ কমিশনার স্টিফেন এম হান বলেন, “আজকের এ অনুমোদনটি করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এর অর্থ বাসায় বসেই অনেকে টেস্টটি করতে পারবেন। ল্যাব এবং হাসপাতালগুলোর ওপর থেকে চাপ কমল”।
প্রথমবারের মতো প্রেসক্রিপশন ছাড়া করোনা টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত জানায়। পরীক্ষা ঘরে বসেই করা যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগের হোম টেস্টগুলোর মত এটির ফল পেতে ল্যাবে স্যাম্পল পাঠাতে হবেনা। ২ বছর বয়সের বেশি যেকোন কেউই পরীক্ষাটি করতে পারবে।
টেস্টটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি ইলিউম প্রস্তুত করছে। টেস্টটি গ্রহণ সহজ হওয়ায় টেস্ট করা মানুষের সংখ্যা অনেক গুণে বেড়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এর পেছনে একটা বড় কারণ।
তবে এফডিএ শুধুমাত্র জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে টেস্টটি করার অনুমতি দিয়েছে। এটি করতে খরচ হবে ৩০ মার্কিন ডলার। জানুয়ারি মাসেই এটির প্রথম ডোজ সরবরাহ করা হবে বলে ইলিউম জানিয়েছে।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল ডায়াগনেস্টিকসের প্রফেসর মারা জি আস্পিনাল বলেন, “ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে এটি একটি বড় পদক্ষেপ”।
কিন্তু টেস্টটির খরচ বেশি হওয়ার কারণে আসলে কতজন তা করতে পারবে তা প্রশ্নের মুখেই থেকে যায়। ধনী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিনতে বাধা দিতে হবে।
ইলিউমের প্রধান নির্বাহী শন পারসনস বলেন, প্রাথমিক ভাবে এক লাখ ডোজ সরবরাহ করা হবে। সামনের বছরের মাঝামাঝির মধ্যে ১০ লাখ ডোজ প্রস্তুত করার চিন্তা করা হচ্ছে। তারা ওয়ালগ্রিনস, সিভিএস বা ওয়ালমারটের মত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলে টেস্টগুলো সরবরাহ করবে, যেন কেউ মজুদ করে রাখতে না পারে। এ বিষয়ে ইলিউমি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছে।
টেস্টিতে একটি নাকে দেয়ার সুয়্যাব (কাপড় জাতীয়) ব্যবহার করা হয়। তারপর তা থেকে স্যাম্পলটি নিয়ে প্রেগনেনসি টেস্টের মত একটি প্লাস্টিকের যন্ত্রে দিলেই ফল জানা যায়।
ইলিউম জানায়, টেস্টটির ফল জানতে ফোনে একটি অ্যাপ নামাতে হবে। সেখান থেকেই ফল জানা যাবে। অ্যাপটি টেস্টের ফলটি জিপ কোড দিয়ে ক্লাউডে পাঠিয়ে দেয়। যেন স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ফলটি জানতে পারে এবং তা গোপন থাকে।
এফডিএ কমিশনার স্টিফেন এম হান বলেন, “আজকের এ অনুমোদনটি করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এর অর্থ বাসায় বসেই অনেকে টেস্টটি করতে পারবেন। ল্যাব এবং হাসপাতালগুলোর ওপর থেকে চাপ কমল”।
তবে অনেকেই মনে করছেন যে এই ধরণের টেস্ট মূলত মানুষজনকে গা ছাড়া ভাবে চলার অনুমতি দিচ্ছে। যা খুবই বয়াবহ। কারণ টেস্টগুলো শতকরা ৯০ থেকে ৯৭ ভাগ সঠিক। এফডিএ আরেকটি হোম টেস্ট কিট ও অনুমোদন দিয়েছে। তবে সেটির জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগবে। ক্যালিফরনিয়ার বায়োটেকনোলজি কোম্পানি লুসিরা হেলথ এর প্রস্তুতকারক। এর দাম ৫০ ডলারের কম নির্ধারিত হওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়।