অগ্রসর রিপোর্ট: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাল-জালিয়াতি, চুরি, মারধরের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনালের এম আমিন উদ্দিনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম ইব্রাহিম খলিল।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তরুজ্জামান বাদীর জবানবন্দির পর শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, অ্যাডভোকেট আব্দুর নূর দুলাল, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই রাকিব, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, মোতাহার হোসেন সাজু, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনালের শেখ মো. মোর্শেদ, অ্যাডভাকেট মনিরুজ্জামান, ওয়াকিলুর রহমান, আজাহারুল্লাহ ভুইয়া, ওয়াজিউল্লাহ, সৌমিত্র সর্দার, শুভ, কাজল রশিদ বিশ্বাস, ব্যারিস্টার ইমরান, আসাদুজ্জামান মনির, মিজান, জগলুল কবির, সাইফ, শাহনেওয়াজ, মুকিম, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, ডিবি রমনা মোহাম্মাদ মমিন, সাবেক ডিসি হারুন, শাহবাগ থানার এসআই গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ, এসি রমনা বায়েজীদুর রহমান, রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল আল মাসুম, নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মাদ ফারুক, শাহবাগ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজুল হক ভুইয়া, ও গেলাম মোস্তফা, নায়েক মো. বাকী বিল্লাহ, কনসটেবল মো. মঈনুদ্দীন, কিবরিয়া ও রকিবুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে থানা-শাহবাগ, জেলা-ঢাকায় হঠাৎ করে সকাল ১০ টায় ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির অজ্ঞাতনামা আইনজীবী, যুবলীগ ও ১০০ জন স্পেশাল পুলিশ সদস্যসহ এজাহারনামীয় অত্র আরজির অভিযুক্ত আনিসুল হক, মমতাজ উদ্দিন ফকির, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, অ্যাডভোকেট আব্দুর নূর দুলাল, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই রাকিব, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, মোতাহার হোসেন সাজু, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনালের শেখ মো. মোর্শেদের নির্দেশমতে ২৮-২৯ নং আসামির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামের ভেতর থেকে আইনজীবীদের বের করে দেওয়া হয়। পরে আইনজীবী সমিতির তথা-কথিত নির্বাচন কমিশনার ১৩ নং আসামির নেতৃত্বে জাল ও ভুয়া ভোট, জাল ব্যালেট তৈরি ও নিজেরা ব্যালটে জাল ভোট প্রদান করেন। ৪-৫ নং আসামি এবং ১৩ নং আসামি উক্ত জাল ব্যালট পেপারে নিজেরা স্বাক্ষর করেন। ৪-২৫নং আসামির উপস্থিত নেতৃত্ব ও জাল জালিয়াতিতে সহযোগিতায় নির্বাচন প্রক্রিয়া নষ্ট করে স্বৈরাচার পন্থায় আসামিরা ১৪ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বার আইনজীবী সমিতির দায়িত্বে বসান। ঘটনাটির পত্রিকা রিপোর্ট, ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র রহিয়াছে। বাংলাদেশের স্বৈরশাসক থাকায় ও ঘটনার সাথে পুলিশ রাষ্ট্রের মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, শেখ পরিবারের দুর্নীতিবাজ সদস্য শেখ ফজলে নুর তাপস এর সরাসরি ইন্দন নির্দেশ, পরিকল্পনা, হুকুম থাকায় বাদী মামলা করিতে পারেননি।