চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ দিনে ৩৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামেন সাব্বির রহমান (৫৯*) ও তাইজুল ইসলাম (১১*)। দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাব্বির-তাইজুল। স্টুয়ার্ট ব্রডের প্রথম ওভার থেকে দুজন তোলেন ৩ রান। বেন স্টোকসের পরের ওভারে একটি চার মারেন তাইজুল। এই ওভারে এসে ৫ রান, কমে আসে জয়ের জন্য রানের ব্যবধান।
কিন্তু স্টোকসের পরের ওভারের প্রথম ৩ বলেই শেষ হয়ে গেল সবকিছু। প্রথম বলে তাইজুলকে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেছিলেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা, তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। রিভিউ চাই ইংল্যান্ড। তাতে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত, আউট তাইজুল (১৬)।
পরের বলটি ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা শফিউল ইসলাম। তার পরের বলেই আবার এলবিডব্লিউর আবেদন। তাতে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ চেয়েও লাভ হয়নি বাংলাদেশের। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকা সাব্বির অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে খালি দেখলেন, কীভাবে ৩ বলের মধ্যে ফিরে গেলেন তাইজুল-শফিউল। তার করার থাকল না কিছুই!
ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড আগের দিন জানান, বাংলাদেশর দুটি ভুলই চট্টগ্রাম টেস্ট তাদের করে দেবে।
১০-১৫ ওভার টিকে থাকলেই বাংলাদেশ জিতবে বলে মনে করেন প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। পঞ্চম দিনে শিষ্যদের প্রথম ১০-১৫ বল দেখেশুনে খেলার পরামর্শ তার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ১০৫.৫ ওভারে ২৯৩ (মঈন ৬৮, বেয়ারস্টো ৫২, রুট ৪০, ওকস ৩৬; মিরাজ ৬/৮০, সাকিব ২/৪৬, তাইজুল ২/৪৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৮৬ ওভারে ২৪৮ (তামিম ৭৮, মুশফিক ৪৮, মাহমুদউল্লাহ ৩৮, সাকিব ৩১, ইমরুল ২১, সাব্বির ১৯; স্টোকস ৪/২৬, মঈন ৩/৭৫, রশিদ ২/৫৮, ব্যাটি ১/৫১)।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস : ৮০.২ ওভারে ২৪০ (স্টোকস ৮৫, বেয়ারস্টো ৪৭, ওকস ১৯*; সাকিব ৫/৮৫, তাইজুল ২/৪১, রাব্বি ১/২৪, মিরাজ ১/৫৮)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৮৬) ৮১.৩ ওভারে ২৬৩/ (সাব্বির ৬৪*, ৪৩, মুশফিক ৩৯, মুমিনুল ২৭; ব্যাটি ৩/৬৫, স্টোকস ২/২০, ব্রড ২/২৬, মঈন ২/৬০)।
ফল : ইংল্যান্ড ২২ রানে জয়ী।