বিএনপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে বিএনপির নাটক বলেছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রউফ জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সদর রোড তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিতে থাকে। একই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিছুটা দূরে সদর রোডে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিক থেকে একটি বোতল ছুড়ে মারা হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিকে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
জেলা বিএনপি সভাপতি (দক্ষিণ) এবায়দুল হক চান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের কর্মীরা অশ্বিণীকুমার হল চত্বরে অবস্থিত বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা অফিস থেকে বের হতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর বেলা পৌনে ১১টার দিকে আওওয়ামী লীগ কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায় অফিসের দরজায় অবস্থানরত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এদিকে, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। শান্তি রক্ষায় রাজপথে রয়েছে বলে দাবি তাদের।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
এ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসা বিএনপি ঢাকা বাদে সারাদেশে বৃহস্পতিবার কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন করে আসা আওয়ামী লীগ আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছিল, জনগণ বিএনপিকে রাজপথে নামতে দেবে না।