অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘এই আসরের পর থেকে আগামী আসরগুলোতে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্টটিকে আরও বড় ও জনপ্রিয় করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হবে।’ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে। যা এই আসরকে এশিয়ার সবচেয়ে সেরা আসরের মর্যাদা দেবে বলে মনে করছেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চেয়ারম্যান আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘সাফের ব্যর্থতা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আমরা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবই। ফুটবলে আমাদের ভিশন ২০২২ নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। তার ফলাফলস্বরুপ আপনারা দেখেছেন, আমাদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ তে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। পাশাপাশি আমাদের অনূর্ধ্ব-১৪ দলের মেয়েরা এএফসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছ। ভাবনার কিছু নেই। ফুটবলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’
গত আসরে অংশ নিয়েছিল ৬টি দল। এবার দল বেড়ে হয়েছে ৮টি। আগের বার বসেছিল ঢাকা ও সিলেটে ফুটবল আসর। এবার ঢাকা ভেন্যু ঠিক রেখে সিলেটের পরিবর্তে নির্ধারণ করা হয়েছে যশোরকে। স্বাগতিক বাংলাদেশের দল থাকছে দুইটি- জাতীয় দলের পাশাপাশি টুর্নামেন্টে খেলছে অলিম্পিক (অনূর্ধ্ব-২৩) দল। ড্র অনুষ্ঠান হলেও গ্রুপিংটা চূড়ান্ত করা হয়েছিল আগেই। সেটিকেই উন্মোচন করেছেন টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনসহ বাফুফে এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের প্রথম ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যশোরে। এরপর, গ্রুপ পর্বের বাদ বাকি ম্যাচসহ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। উল্লেখ্য, এশিয়ার ৮টি দেশের অংশগহণে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের গ্রুপিং-
গ্রুপ ‘এ’ : বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল
গ্রুপ ‘বি’ : বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩, কম্বোডিয়া, বাহরাইন ও মালদ্বীপ