সাঈদ খোকন বলেন, সিটি করপোরেশন হকারদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ফুটপাত দখলমুক্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাই। গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে নগর ভবনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত পরশু সেখানে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট গেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা নগর ভবনে ফিরে আসেন। কিছু হকার নামধারী লোক নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন। এটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃসাহসিক কাজ। কোনোভাবেই তা মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের ঘটনা যদি ভবিষ্যতে হয়, তবে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেয়র বলেন, এ শহরের ৬০-৬৫ শতাংশ লোক পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যান। তাদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমাদের প্রয়াস চলছে। এ শহরের মানুষের জীবনকে স্তব্ধ করে দেয়ার অধিকার কারও নেই। শহরে গরিব–দুঃখী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র। কিন্তু তার মানে এই নয় যা ইচ্ছা তা–ই করবে, সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাবে, আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সায়েদাবাদ এলাকায় কয়েক যুগ থেকে চলা অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছি। কর্মসংস্থানের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে পুনর্বাসনের মধ্যদিয়ে দ্রুততম সময়ে অন্ততপক্ষে ঢাকার গুলিস্তান এলাকাকে অবৈধ দখলমুক্ত করব। এ ব্যাপারে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছি।
গুলিস্তানের উচ্ছেদ অভিযানে গুলি চালানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, গুলিস্তানে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু লোক ভাবাবেগতাড়িত হয়ে, উচ্ছ্বাসের বশবর্তী হয়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটা আমরা সমর্থন করি না। আমরা যেন কোনো পরিস্থিতিতে আইন নিজের হাতে তুলে না নিই। এটা একটা মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ বিষয়ে পুলিশকে বলা আছে, তারা নিজস্ব গতিতে তদন্তকাজ চালাবে। তিনি বলেন, হকারদের সাময়িকভাবে পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের বাইরের খালি জায়গা ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে কাউন্সিলরসহ সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।