খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের পেঠান মাতবর পাড়া এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। নিজস্ব দুটি ট্রাক গাড়ি ও ১০-১২জন শ্রমিক নিয়োগ করে বিরামহীনভাবে কেটে চলেছে পাহাড়। এর ফলে পাহাড় হচ্ছে সাবাড়, দিন দিন নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পেকুয়ায় এক সময় কোন পাহাড় থাকবে না। পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও বছরের বেশিরভাগ সময় তাদের দেখা মেলে না। সে সুবাদে পাহাড়খেকোরা অব্যাহত রাখেন পাহাড় কাটা।
এই বিষয়ে জানতে জাহেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাসী বা লেভার নই। আমি কোন পাহাড় কাটছি না।
এব্যাপারে পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাসউদ বিন জলিল বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ফলে সোচ্চার হয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। জড়িতদের বিরুদ্ধে তাদের করা মামলার দরুণ সাময়িক পাহাড় কাটা বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বনবিভাগের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আবারো পাহাড় কাটা শুরু করেছে পাহাড় খেকোরা। পাহাড় কাটা বন্ধে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাহাবুবউল করিম বলেন, খোঁজ নিয়ে পাহাড় কাটার সত্যতা মিললে যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাহাড় কাটা বন্ধে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।