আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সোয়া্ দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ এ দুই নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এ দু’নেতার বৈঠকে বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে সিরিয়া যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রসঙ্গের ইস্যু বেশ গুরুত্ব পায়।
এছাড়া গত বছরের মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়টি নিয়েও দুনেতার মধ্যে আলোচনা হয়। এ সময় দু’জনের আলোচনায় বাক্যবিনিময়ে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়।
রুশ অভিযোগের বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে যে বাক্যবিনিময় হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসেনের বর্ণনায় তা ছিল ‘জোরালো’।
যদিও বৈঠকের পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, এ ব্যাপারে রাশিয়ার কোন দায় নেই, মি. পুতিনের এমন বক্তব্যকে মেনে নিয়েছেন মি. ট্রাম্প।
কিন্তু মি. টিলারসেনের বক্তব্য, এই প্রসঙ্গে দুই দেশ কখনো একমত হবে কি না সেটা স্পষ্ট হয়নি।
রেক্স টিলারসেন বলেন, দুই নেতা খুব দ্রুতই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেন। দুজনের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে ইতিবাচক রসায়ন ছিল। টেবিলে আলোচনার জন্য এত বেশি ইস্যু ছিল যে, দুজনের কেউই থামতেই চাইছিলেন না।
“আমার ধারণা, এমনকি এক পর্যায়ে ফার্স্ট লেডিকে পর্যন্ত ভেতরে পাঠানো হয়েছিল, যদি আমাদের বের করে নেয়া যায়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এর পর আরও এক ঘণ্টা বৈঠক করেছি”, বলছিলেন মি. টিলারসেন।
দুজনেই অবশ্যই কথা বলার জন্য অনুবাদকের সাহায্য নিচ্ছিলেন।
বৈঠক শুরু হবার আগে যখন দুই নেতা ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন, তখন মি. পুতিনকে উদ্দেশ করে মি. ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আপনার সাথে দেখা হওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি”।
জবাবে মি. পুতিন বলেন “আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত”।