২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবি’র মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র।
এই হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এছাড়াও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস আহত হয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ওই বছরেই ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এই বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হন।
বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে ২০ জানুয়ারির শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। দায়সারাভাবে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের পাশাপাশি এর নেপথ্যের হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
হামলার শহীদদের স্মরণে সিপিবির পক্ষ থেকে আগামীকাল সারাদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সম্মুখে শহীদ স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।
পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।