অগ্রসর রিপোর্ট : ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য কীর্তি আজাদ। নোট বাতিল ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিড়ম্বনার জন্য তিনি অরুণ জেটলিকেই দায়ী করেছেন। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রীর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ব্যাংক থেকে অবৈধ অর্থ বৈধ করা বা কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে এবং কোটি কোটি টাকার কারচুপি করা হচ্ছে- এম অভিযোগ তুলে কীর্তি আজাদ বলেন, ‘ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন। অর্থমন্ত্রী অক্ষম এবং তিনি অর্থনীতিবিদও নন, তাকে ইস্তফা দেয়া উচিত।’
গতকাল রবিবার দ্বারভাঙ্গায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নোট বাতিলের ফলে দেশে অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। মুদ্রা রহিতকরণে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হতো তাহলে নোট বাতিলের আগে অবশ্যই পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা হতো। সাধারণ মানুষ ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটের পরিবর্তে ২০০০ টাকার নোট ছাপার যথার্থতা বুঝতে পারছে না। মানুষ মনে করছে গোটা প্রক্রিয়াতে কর্পোরেট ঘরানায় সুবিধা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
কীর্তি আজাদ বলেন, নোট বাতিলের ফলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কাজের অভাবে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিককে বাসায় ফিরে আসতে হচ্ছে। ৮ নভেম্বরের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। ওই পদক্ষেপ আগে ব্যাপকভাবে না হওয়ার ঘটনাকে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অক্ষমতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেন।
অরুণ জেটলি যদি ইস্তফা না দেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর তাকে দ্রুত পদচ্যুত করা উচিত বলেও কীর্তি আজাদ মন্তব্য করেন।