নিজের জনপ্রিয়তা ও মার্কিনদের নিয়ে তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো তুমুল আত্মবিশ্বাসী ওবামা। তার দাবি, মার্কিন জাতি তার রাজনৈতিক ভিশন নিয়ে এখনো আশাবাদী।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন অকুণ্ঠ সমর্থন পান ওবামার কাছ থেকে। হিলারির হয়ে নির্বাচনী জনসভায় ভোট চেয়েছেন তিনি। কিন্তু বিতর্কিত প্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গেছেন হিলারি। এরপরও ওবামা দাবি করছেন, তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকলে তিনিই জয়ী হতেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, দুবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আর কখনো নির্বাচন করতে পারবেন না। ২০০৮ ও ২০১২ সালে নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন ওবামা। ফলে তিনি দাবি করলেও তা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ আর নেই।
সিএনএন ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ওবামার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যা দদি এক্স ফাইলস’ নামে পডকাস্টে পোস্ট করা হয়েছে।
ওবামার সাবেক উপদেষ্টা ডেভিড অ্যাক্সেলরড তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে ওবামার নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন অ্যাক্সেলরড। ওবামা বলেন, পরাজয় কখনো হাস্যকর কিছু নয়।
সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, আমি গর্বিত এই জন্য যে, ক্ষমতায় থেকে আমার কাছে যা ভালো মনে হয়েছে, জনপ্রিয়তাকে বাদ দিয়ে আমি তা-ই করেছি। দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময়ে আমেরিকার যে অগ্রগতি হয়েছে, তার জন্য ‘আমেরিকানদের শক্তি’র প্রশংসা করি আমি।
২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি চটপটে, সহনশীল, সৃজনশীল ও উদ্যমী বলে মন্তব্য করেন ওবামা।
আগামী ২০ জানুয়ারি ওবামার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিজের প্রতি আস্থাশীল ওবামার প্রতিপক্ষ শিবিরের ট্রাম্প তার রাজনৈতিক ভিশন নিয়ে জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে বিদায় নেবেন ওবামা।