নাচোল প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌর মেয়র আবদুর রশিদ খান ঝালুর বিরুদ্ধে একটি রেইনট্রি কড়াই গাছ গোপনে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্ধশতাব্দী বয়সী গাছটির আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার হলেও বিক্রি করা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০ টাকায় বলে জানা গেছে। এদিকে মেয়র জানিয়েছেন, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য কোনো গাছ কাটতে হলে কারো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
জানা গেছে, নাচোল মধ্যবাজারের হাটচাতালে প্রায় ৫০ বছরের একটি রেইনট্রি কড়াই গাছ গতকাল বুধবার সকালে জাহাঙ্গীর আলম তার লোকজন নিয়ে কাটতে যায়। এ সময় ওই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী লাল চাঁন্দের ছেলে মনিরুল (৩০), মৃত খালেকের ছেলে পলাশ (৩০) ও শুকুর আলীর ছেলে সাদেক (৩২) গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি পৌরসভা থেকে নিলামের মাধ্যমে গাছটি ক্রয় করেছেন। কবে, কখন নিলাম হয়েছেÑ এ প্রশ্ন করলে জাহাঙ্গীর কোনো সদুত্তর না দিয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। খবর শুনে পৌর মেয়র ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার মানুষদের সঙ্গে তিনিও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেয়র আব্দুর রশিদ খান ঝালু একক ক্ষমতা বলে নিলামের কোনো নোটিশ বা মাইকিং না করে গোপনে এ গাছটি প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করেছেন। এর আগেও মেয়র সংস্কারের নামে নাচোল বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রাস্তার পাশে থাকা বড় বড় গাছ স্বল্প দামে বিক্রি করেছেন বলে পৌর বাসীর অভিযোগ রয়েছে।
জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গাছবান্ধব সরকার। তিনি দেশটা সবুজায়ন করার জন্য একদিকে বৃক্ষ রোপণ করে যাচ্ছেন; অন্যদিকে মেয়র কারো কোনো অনুমতি না নিয়ে নিজের ক্ষমতাবলে গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলছেন।
নাচোল বন বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হক জানান, সরকারি কোনো গাছ কাটতে হলে নিয়মানুযায়ী তার দাম নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তাকে চিঠি ইস্যু করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি।
নাচোল পৌরসভার প্রকৌশলী আব্দুল মালেক গাছ নিলামের সঠিক তারিখটি না জানাতে পারলেও জুনের ১০/১২ তারিখে স্থানীয় নোটিশের মাধ্যমে নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে বলে দাবি করেন। দাম নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএমডিএর এসওদের নিয়ে গাছের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাচোল পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান ঝালু বলেন, পৌরসভার ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের জন্যই তিনি গাছ কেটেছেন। কম দামে বিক্রির বিষয়ে তিনি জানান, যদি কেউ বেশি দাম বলে তবে পূর্বের গ্রহীতাকে বাদ দিয়ে তাকে দেয়া হবে। েেময়র দাবি করেন, কতিপয় ব্যক্তি পৌরসভার উন্নয়নে তাকে বাধা সৃষ্টি করছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।