চট্টগ্রাম প্রতিনিধি- ফেনী নদী গিলে খাচ্ছে মিরসরাই উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকা। একবারের টানা বর্ষণ ও বন্যায় ভাঙ্গন আরো তীব্র হয়েছে। তার সাথে পাহাড়ী ঢলে নদীর স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি ভাঙ্গন ধারন করেছে দৈত্যাকৃতিতে।
গত এক যুগ ধরে অব্যাহত ভাঙ্গনের কারণে গৃহহারা হয়েছে শত শত পরিবার। ফেনী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের করাল গ্রাসে ইতিমধ্যে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ও ধূম ইউনিয়নের অনেক জনপদ চলে গেছে নদী গর্ভে। বিলিন হয়েছে মসজিদ, মন্দির, হাট বাজার সহ অসংখ্য বাড়িঘর। এই ভাঙ্গন রোধে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দফায় দফায় ব্লক ও গোইং স্থাপন করা হলেও সেখানে কোন প্রকার সংস্কার কার্যক্রম না থাকায় অনেক স্থানে দেবে গেছে ব্লক। আর সেখানে সৃষ্ট ভাঙ্গনে আবারো হুমকীর মুখে উপজেলার ৪ নং ধূম ইউনিয়নের শুক্কুবারইয়ারহাট বাজার, সাইক্লোন সেন্টার, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমজিদ।
ভাঙ্গছে করেরহাটের অলিনগর, আমলিঘাট ও দক্ষিণ এবং পশ্চিম জোয়ার এলাকা। ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ী ঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট ভাঙ্গনের মুখে পতিত বলে জানা যায়। গত এক যুগে শত শত বঘতঘর সহ ৬০ একর সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মিরসরাই-সোনাগাজী উপজেলার সীমান্তর্তী এলাকার ৪নং ধুম ইউনিয়নের উত্তর মোবারক ঘোনা, ধুম মোজার উত্তর পূর্বাংশ, মোবারক ঘোনার উত্তর পূর্বাংশ, শুক্রবারইয়ার হাট ও ধুমঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনে মাথা গুজার শেষ ঠিকানাও হারাচ্ছে হাজার হাজার পরিবার।
শুক্রবারইয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক জানান, নদী ভাঙ্গনে ৮ একর জমি সহ আমার বঘতঘর নদীর পানির সাথে তলিয়ে গেছে।পরবর্তীতে রাস্তার পাশে জায়গা কিনে বসবাস শুরু করি। কিন্ত এমন হাজার হাজার পরিবার আছে যাদের বসত ভিটা বিলীন হওয়ায় তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।রাস্তার দু’ধারে কুড়ে ঘর তুলে কোন রকমে চলছে এসব পরিবার। করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, তার এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে তিনি পাউবোর কাছে ধর্ণা দিয়ে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছু এলাকায় ব্লক স্থাপন করতে পারলে ও সেখানে সংস্কার অবশিষ্ট এলাকায় ব্লক বসানো জরুরী। এবারের বর্ষায় আরো অনেক পরিবার গৃহ ও ভূমিহীন হবার অপেক্ষায় রয়েছে। ধূম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান জানান, এখানে শুক্কুরবারইয়ারহাট ও সাইক্লোনসেন্টারটি রক্ষা করা খুবই জরুরী। তিনি এই বিষয়ে গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কে বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।