তিনি বলেন, এ বছরে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একই গতিতে থাকবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জটিল কিছু দেখছি না।
সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে পুনরুজ্জীবিত করে ব্যাংকিং সিস্টেমের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের নামে চলা মামলাগুলোর যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি যখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেই তখন গ্রামীণ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪০ শতাংশ। এখন এই হার ৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সহনীয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যখন গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন দুটি উদ্দেশ্য ছিল। একটি হলো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ দেয়া এবং তাদের ঋণ ফেরত দেয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। এখন এটি শতভাগ সফল। মানুষ ঋণ নেয় এবং তা ফেরতও দেয়। তাই গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি নতুন করে ভূমিকা সৃষ্টি করতে চাই।
বছর শেষ ও নতুন বছর উদযাপন করতে না পারার হতাশা প্রকাশ করে মুহিত বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা ইয়ার এন্ডিং উদযাপন করতে পারি না। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে মনে হয়েছে শহর যেন মৃত। মানুষ ঘরে চলে গেছে। গাড়ি ঘোড়া চলছে না। নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু সেটিকে কাটিয়ে উঠে আমরা যদি সফলভাবে বছর উদযাপন করতে পারতাম তবে ভালো হতো।
এ সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ সময় মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে দুটি কেক কাটেন অর্থমন্ত্রী।