অগ্রসর রিপোর্ট :জামালপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন মা-ছেলেসহ তিনজন। বজ্রপাতের সব ঘটনাই ঘটেছে শুক্রবার বিকালে।
আমাদের জামালপুর প্রতিনিধি জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা, উত্তর মাইছানিরচর গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- পূর্ব কলকিহারা গ্রামের মহিজল হকের ছেলে হরবাদশা, একই গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম এবং উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের খলিলুর রহমান বৃষ্টির সময় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে যান। গোসল করার সময় বজ্রপাত হলে তিনি সেখানেই মারা যান।
অন্যদিকে ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে হরবাদশা ও বাড়ির পাশে খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে আকিজা বেগম মারা যান।
একই সময়ে জেলার দেওয়ানগঞ্জে বজ্রপাতে আনা মিয়া নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গামারিয়া গ্রামের আবেল মিয়ার ছেলে আনা মিয়া রাজমিস্ত্রির কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে চিকাজানী দীঘিরপাড় এলাকায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বিকালে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার সুন্দরপুর ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বজ্রপাতে মৃতরা হলো সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের রানার স্ত্রী এ্যানি খাতুন, তার ছেলে নূর মোহাম্মদ এবং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের টিকলীচর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত।
জানা গেছে, বিকালে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে মা ও ছেলে বাড়ির পাশের আমবাগানে যায়। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মা এ্যানি খাতুন মারা যায়। আহত অবস্থায় ছেলে নূরকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এছাড়া আম কুড়াতে গিয়ে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে ইয়াসির আরাফাত নামে এক শিশু বজ্রপাতে মারা গেছে।