অগ্রসর রিপোর্টঃ থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শিল্প লক্ষ্য করে দফায় দফায় বোমা হামলাকারীদের খুঁজছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ প্রদেশে ১১ টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দেশটির ৪ নাগরিক নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়। আহতদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়, পর্যটন শহর হুয়া হিন ও ফুকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে পুলিশ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলেছে, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।
জাতীয় পুলিশের ডেপুটি মুখপাত্র পিয়াপান পিংমুয়াং শনিবার সকালে বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এছাড়া কোন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত বা হামলার উদ্দেশ্য শণাক্ত করতে তারা পারেনি।
কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের দক্ষিণের সীমান্ত অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিবাদের সঙ্গে এর সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার ওপর তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।
হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে বলেছিলেন, হামলার পিছনে কারা তা জানা যায়নি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগ সৃষ্টি করতেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে আমরা মানুষকে আরো ভীত হতে দিতে পারিনা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ যখন স্থিতিশীলতা, একটি উন্নত অর্থনীতি ও পর্যটনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন এ বিস্ফোরণ এবং কারা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।