ঐ ম্যাচের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন সুমন। প্রথম ইনিংসে ৯৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৫ রান। তবে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ধস নামিয়ে নিজের ডেব্যু ম্যাচেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০০ সালের নভেম্বরে ভারতের সাথে প্রথম টেস্ট ম্যাচের প্রায় চার বছর পর জয় ধরা দেয় বাংলাদেশের হাতে। ঐ টেস্ট দলে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র মাশরাফি বিন মুর্তজাই এখনো নিয়মিত জাতীয় দলে খেলছেন। যদিও টেস্ট ক্রিকেট থেকে এরই মধ্যে অবসরে গেছেন মাশরাফি।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৮৮ রানের বড় সংগ্রহের ৪৮টি রানও এসেছিল এই তরুণ পেসারের ব্যাট থেকে।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ধস নামিয়েছিলেন স্পিনার মোহাম্মদ রফিক। আর ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৯ রান এসেছিল রাজিন সালেহ-র ব্যাট থেকে।
হাবিবুল বাশার জানান, দেশে বা দেশের বাইরে যখনি কোন টেস্ট সিরিজ খেলতে যেতাম তখনি প্রথম কথাই হতো যে বাংলাদেশ এখনে কোন টেস্ট ম্যাচ জেতেনি। এটাও আমরা পাল্টাতে চাচ্ছিলাম যে মানুষ অন্তত বলুক যে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ জিতেছে।
প্রথম টেস্ট জয়ের পর অবশ্য গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে যতটা এগিয়েছে টেস্টে তার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এখনো পর্যন্ত ৮০ টা টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৮ টিতে। ড্র রয়েছে ১৫ টি।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে বেশ কিছু টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ১২ই জানুয়ারি শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সাথে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সাথে একটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।