ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক ফোনালাপের পর ট্রাম্পের কার্যালয় ও ক্রেমলিন কর্তৃপক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ফোনটি কে করেছিলেন তা নিশ্চিত করেনি ক্রেমলিন। অবশ্য, ট্রাম্পের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, পুতিনই প্রথম ফোনটি করেন।
ফোনে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সাফল্য কামনা করেন পুতিন। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় পুতিনের প্রশংসা করতেন ট্রাম্প। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদিন ফোনালাপে রাশিয়ার সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান ট্রাম্প।
ক্রেমলিন জানায়, টেলিফোন আলাপে এ দুই নেতা একমত হন যে, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক একেবারেই অসন্তোষজনক। এই সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজও করতে হবে। তাদের আলোচনায় সিরিয়া ইস্যুও স্থান পেয়েছে। এ দুই নেতা আপাতত ফোনে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। পরবর্তীতে দেখাও করবেন তারা।
টেলিফোন কলটি প্রথম কে করেছেন সে বিষয়ে রাশিয়া কিছু না বললেও ট্রাম্পের অফিশিয়াল সূত্র বলছে পুতিনই প্রথম ফোন করেন। আর তখন ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি রাশিয়ার সরকার ও দেশটির জনগণের সঙ্গে দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ক গড়ার জন্য সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন।
৮ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর পরই টেলিগ্রাম করে ট্রাম্পকে অভিনন্দিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেছিলেন পুতিন। সদ্য অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিজনিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্র নীতির মিল রয়েছে বলে মনে করে রাশিয়া। আর সেকারণে ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কন্নোয়নের আশা করছে দেশটি। সম্প্রতি নিউইয়র্কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব কথা জানান।
পেসকভ বলেন, তিনি ট্রাম্প ও পুতিনের পররাষ্ট্র নীতির মধ্যে অবিশ্বাস্যরকমের মিল দেখতে পেয়েছেন। মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরুর ক্ষেত্রে এটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি। এর আগেও ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণায় পুতিনের প্রশংসা করতেন। বলতেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে অনেকগুণ এগিয়ে পুতিন। ওই সময় পুতিনও ট্রাম্পকে মেধাবী মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন।
কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ওবামার যুক্তরাষ্ট্র আর পুতিনের রাশিয়া। যার সর্বশেষ প্রকাশ ঘটেছে সিরিয়ায়। মস্কো সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর ওয়াশিংটন সমর্থন দিচ্ছে বাশারবিদ্রোহীদের। তবে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস মিলছে।
সূত্র : বিবিসি