টমেটোতে ক্যালোরি, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম খুব কম থাকে এবং এতে কোন ফ্যাট থাকে না। এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে বলে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু টমেটোতে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এমন আরো অনেক উপাদান আছে যা অনেকেই জানেন না।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : টমেটোতে নায়াসিন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি ৬ থাকে। এ কারণেই টমেটো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা সপ্তাহে ৭-১০টি টমেটো খান তাদের কার্ডিওভাস্কুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি ৩০% কমে, যে নারীরা এর চেয়ে কম খান তাদের তুলনায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা অনেক বেশি টমেটো খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সার, পাকস্থলি র ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে। টমেটোতে লাইকোপিন থাকে বলে ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
ডিএনএ-এর ক্ষতি প্রতিরোধ করে : টমেটোতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিনগুলো উঘঅ কে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও টমেটো বয়স সংক্রান্ত রোগ যেমন- এথেরোস্ক্লেরোসিস এবং ডায়াবেটিস তাড়াতে সাহায্য করে।
থ্রম্বোসিসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় : থ্রম্বোসিস হচ্ছে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার একটি রোগ। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৮ আউন্স টমেটোর জুস পান করলে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে। তবে এক্ষেত্রে কম সোডিয়াম যুক্ত টমেটোর জুস পান করতে হবে। কারণ সোডিয়ামের উচ্চ মাত্রা এই ধরণের রোগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ইনফ্লামেশন কমায় : একটি ডাবল ব্লাইন্ড গবেষণায় দেখা গেছে যে, ১ গ্লাস টমেটো জুস পান করলে রক্তে টিএনএফ অ্যালফার মাত্রা ৩৪% কমে। টিএনএফ অ্যালফা ইনফ্লামেশন সৃষ্টির জন্য দায়ী।
রক্তে চিনির মাত্রা কমায় : টমেটোতে খুব কম পরিমাণে শর্করা থাকে। কিন্তু ক্রোমিয়ামের ভালো উৎস টমেটো। যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চুলের জন্য উপকারী : চুলকে শক্তিশালী করতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে টমেটো। টমেটোর ভিটামিন ও মিনারেল চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং পিএইচের ভারসাম্য রক্ষায় ও কাজ করে। এছাড়াও চুলের খুশকি কমতে সহায়তা করে টমেটো।
হাড়ের জন্য ভালো : টমেটো আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কারণ টমেটোতে ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম ও লাইকোপিন থাকে যা হাড়ের ভরের উন্নতিতে সাহায্য করে।
সুস্থ ত্বক : অনেক দামি ফেসিয়াল ক্লিঞ্জারের একটি সক্রিয় উপাদান হচ্ছে লাইকোপিন। যা আপনি প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারেন টমেটো থেকে। তাই প্রাকৃতিক ভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কারের জন্য টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে তা আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৫ মিনিট ধরে। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে ও স্বাস্থ্যবান দেখাবে।
কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে : টমেটোতে ক্লোরোজেনিক এসিড ও কৌমারিক এসিড থাকে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। দূষণকারী পদার্থ ও সিগারেটের ধোঁয়ায় পাওয়া যায় কার্সিনোজেন।