শামীম আখতার নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি:
ক্যাপ্টেন কুলের অনবদ্য ব্যাটিং বৃথা গেল না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২২ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। ইনিংসের ৬ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ২২৫ রানে অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে ভর করেই ছন্দে ফেরার আশায় ধোনি বাহিনী। আর একদিনের ম্যাচের সিরিজে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান এখন ১-১।
ঠিক সময়েই ঝলসে উঠল ক্যাপ্টেন কুলের ব্যাট। তার অধিনায়ক জীবনের অবিচুয়ারি লিখতে যখন বিশেষজ্ঞরা ব্যস্ত, মাহি তখন বুঝিয়ে দিলেন, ‘পিকচার অভি বাকি হ্যায়’। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে যখন পরপর ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে টিম ইন্ডিয়া, ২২ ওভারে সম্বল মাত্র ১০২, ২০০ টপকানো মনে হচ্ছিল সুদূর স্বপ্ন, তখনই হাল ধরলেন ধোনি। তার ৮৬ বলে ৯২ শুধুমাত্র ৫০ ওভারে প্রোটিয়াসদের জন্য টার্গেটটা ২৪৭ করল না, অকালে একটা দলের বেঁকে যাওয়া মেরুদণ্ড একার দাযিত্বে টেনে সোজাও করল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ২২৫-এ শেষ করে দিয়ে দলের মনোবল ফেরানোর কাজটায় পূর্ণতা দিলেন মাহী।
সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ইনদওরে এই ম্যাচটা খেলতে নেমেছিল ভারত। দলের সেরা ব্যাটসম্যানের অফফর্ম অব্যাহত। ফর্মে থাকা সেরা বোলার আহত। এক ভুলের পুনরাবৃত্তি। জেতা ম্যাচ মাঠে ছেড়ে আসা। ঝুলিতে তিন ম্যাচে পরাজয়। রীতিমতো এই বেহাল দশা।
গোদের উপর বিষ ফোঁড়া, বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যান এখন ফর্মের তুঙ্গে। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এতটা ল্যাজে গোবরে অবস্থার কথা দুঃস্বপ্নেও সম্ভবত ভাবেননি ধোনি। আগের তিনটি ম্যাচের হালহকিকত স্পষ্ট জানান দিয়েছিল, আজ ইন্দোরে ফেভারিট মর্কেলরাই।
আর ঠিক এখান থেকেই একপেশে পরাজয়ের ঘূর্ণন গতিটা পুরো বদলে দিলেন ধোনি। মুখে নয়, সমালোচনার জবাবগুলো জমিয়ে রেখেছিলেন ব্যাটের ডগাতেই, বুঝিয়ে দিলেন।
এ দিনের ম্যাচ খেলতে নামার আগে টিম ইন্ডিয়ার সামনে আশার আলো বলতে ছিল একটা রেকর্ড। সেই রেকর্ডটি হল, ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত একটা ম্যাচও হারেনি ভারত। বুধবার ধোনিদের জয় সেই রেকর্ড অক্ষত রাখল।