এর চেয়ে লজ্জার বিষয় সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ছুড়ে দেয়া ২৫৪ রানের জবাবে মাত্র ৫৪ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা।
অবশ্য বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যমাত্র ছিল ২২ ওভারে ১৬১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে তারা ৫৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সপ্তম সর্বনিম্ন রানের স্কোর। অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের স্কোরটিও তাদের দখলে। ২০০৪ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
রবিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। শুরুটা ভালো না হলেও নূর আলী জাদরান, রহমত শাহ ও মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে ভর করে ২৫৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। রহমত শাহ ৫০, মোহাম্মদ নবী ৪৮ ও নূর আলী জাদরান ৪৬ রান করেন। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান করে আফগানিস্তান।
এরপর বৃষ্টি এসে হানা দেয়। বৃষ্টির কারণে জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৫ রানে দ্বিতীয় ও ১১ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্প্রিং বকরা। এই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। ১৩ রানে চতুর্থ, ২৯ রানে পঞ্চম, ৩০ রানে ষষ্ঠ, ৩৮ রানে সপ্তম, ৩৯ রানে অষ্টম, ৫১ রানে নবম ও ৫৪ রানে দশম উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ে জিম্বাবুয়ে।
ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমার অপরাজিত ১৪ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান আসে রায়ান ব্রুলের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ ২ অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
বল হাতে আফগানিস্তানের আমির হামজাহ ও মোহাম্মদ নবী ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন রশিদ খান। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন রহমত শাহ। সিরিজ সেরা হন মোহাম্মদ নবী।