বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ বাংলাদেশে বিপুল সম্ভবনার কথা উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবে।
বৈঠকে শ্রমিকের অধিকার, সাস্টেনিবিলিটি কম্প্যাক্ট ও জিএসপি অ্যাকশন প্লান, বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ, ট্রান্সফরমেশন অব বাংলাদেশ, বাজার সুবিধা, দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ, ইস্তানবুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন, বালি প্যাকেজ, ন্যায্য মূল্য, টিপিপি, ব্লু-ইকোনমি, অবকাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পক্ষ শ্রমিকের অধিকার, সাস্টেনিবিলিটি কম্প্যাক্ট ও জিএসপি অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তারা হংকংয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ঘোষণা এবং বালিতে ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত বালি প্যাকেজ অনুযায়ী বাংলাদেশী পণ্যে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত (ডিএফকিউএফ) সুবিধা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে তারা আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপারচুনিটি অ্যাক্টের (এজিওএ) কারণে আফ্রিকান এলডিসি ও বাংলাদেশসহ এশিয়ান এলডিসি’র মধ্যে বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ পক্ষ টিপিপি’র (ট্রান্স-প্যাসেফিক পাটর্নারশিপ) ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরফলে যুক্তরাষ্ট্র ও টিপিপিভুক্ত অপর কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের রফতানির উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশ পক্ষ গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুতের চিত্র তুলে ধরা হয়।
তারা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ, এফডিআই’র জন্য রাজস্ব ও আর্থিক ও নন-আর্থিক ইনসেনটিভ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের মাধ্যমে বাংলাদেশে উপযুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ পক্ষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যগণ হলেন : পররাষ্ট্্র সচিব শহিদুল হক, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি মিশেল ডিলানি।
বৈঠকে টিকফার আগামী বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র টিকফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বাধাসমূহ দূর করতে দুই দেশ এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০১৪ সালে ঢাকায় টিকফার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জিএসপি প্লান অব অ্যাকশন বিষয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র
স্টাফ রিপোর্টার: সাস্টেনিবিলিটি কম্প্যাক্ট এবং জেনারেলাইজড সিস্টেম (জিএসপি) অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসটিআর অফিসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট’ (টিকফা) দ্বিতীয় বার্ষিক কাউন্সিল বৈঠকে এই প্রশংসা করা হয়।