ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার কুমিল্লা শহরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা কথা বলেছেন। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবে মেয়েকে হারিয়েছেন- এমন অভিযোগ করেছেন মৃত জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাতের পর কুমিল্লায় নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যেভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে তা আগে দেখালে আমার মেয়েকে হারাতে হতো না।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে কী কথা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে আমি তদন্ত দলকে সব বলেছি। তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়েছে। আমরা এখন জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে, আজ বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও এলাকায় অবন্তিকার বাসায় আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। সেখানে অবন্তিকা মায়ের সঙ্গে কথা বলে দুপুর দেড়টার দিকে সেখান থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন তারা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অবন্তিকার বাসভবনে আসা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এসএম মাসুম বিল্যাহ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ।
অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে যাওয়ার সময় তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করতে আমরা কুমিল্লায় এসেছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যা জানেন সেগুলো আমাদের বলেছেন। আমরা অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। তবে তদন্তের প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে কথা বলা হবে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ঘটনার পর তার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।