তিনি বলেন, আগে তারা দলবল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতেন। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা এড়াতে গত ৩ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট দুয়েকজনকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছেন। এবারো তাই করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তরপত্র যেন সমানভাবে মূল্যায়ন করা হয়, তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই ধরনের উত্তরপত্রে সব শিক্ষার্থী যেন সমানভাবে নম্বর পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ২ হাজার প্রধান পরীক্ষককে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা বাকি পরীক্ষকদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের সহায়তায় এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই ধরনের উত্তরপত্রে একেক পরীক্ষক একেক রকম নম্বর দেন। এটি যাতে না হয়, সে জন্যই এমন ব্যবস্থা।
মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসরোধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, আশা করছি প্রশ্ন ফাঁস হবে না। তবে কেউ কেউ ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে তা বিক্রি করে। আপনারা ভুয়া প্রশ্নে পেছনে ছুটবেন না।
শিক্ষার মান বাড়লেও তা আরোও উন্নত মানে পৌঁছাতে হবে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, লেখাপড়ার পদ্ধতিকে আরো সহজ করতে হবে যেন ছেলেমেয়েরা সহজেই বুঝতে পারে। সেই কাজ মন্ত্রণালয় শুরুও করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ছাড়াও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
সকাল ১০টার দিকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন।
এবার ৮টি সাধারণ বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিলে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ জন ও কারিগরি বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভকেশনাল) পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪ হাজার ২১২ জন। প্রথম দিনে আজ এসএসসিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
সময়সূচি অনুযায়ী তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে।