অগ্রসর রিপোর্ট: পরপর দুই দিন সংঘর্ষে জড়ানোর পর হলে তল্লাশি চালিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় ও সিএফসি’র সংঘর্ষে দুই দিনে ৪ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৯ মার্চ) মধ্যরাতে হলে অভিযান চালায় প্রশাসন। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালানোর পর শাহ আমানত এবং সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ মার্চ অর্থনীতি বিভাগের আয়োজিত কনসার্টে প্রবেশ করতে চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইটপাটকেল এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২ জন আহত হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
৯ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের এ দুটি উপগ্রুপ। আব্দুর রব হলের ঝুপড়িতে বিজয় গ্রুপের এক কর্মীকে মারধরের জের ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সোহরাওয়ার্দী হল এবং শাহ আমানত হল এলাকা। ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি দিয়ে শুরু হয়ে ধারালো অস্ত্র, লাঠি এবং রড নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরপর ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে জমায়েত হয় সজ্জিত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। পরে পুলিশের সহায়তায় অবস্থা নিয়ে আসেন প্রক্টরিয়াল বডি।
রাত ১২টার দিকে ফের সংঘর্ষ শুরু হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে হল রেড দেওয়ার পরিকল্পনা নেন প্রক্টর। শাহ আমানত এবং সোহরাওয়ার্দী হল থেকে দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ও পেট্রল বোমা উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, রাতে শাহ আমানত হল ও সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায় পুলিশ। হল দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পেট্রল বোমা, ককটেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা দুটি হলে তল্লাশি চালাই। তল্লাশিতে পুলিশ আমাদের সহায়তা করেছে।