বেশ কঠিন এক দিনই পার করল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের টেস্টের প্রথম দিনটা নিশ্চিতভাবে শ্রীলঙ্কার। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়ার পর ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কা শেষ সেশনের খেলা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে।
শেষ সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে আরো ১০০ রান যোগ করেছে সফরকারীরা। এই সেশনে আউট হন কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। মেন্ডিসকে ফেরান সাকিব আল হাসান।
স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি থেকে সাত রান দূরে থাকতে আউট হন মেন্ডিস।
তাঁর ১৫০ বলের ইনিংসটি ১১ চার ও এক ছক্কায় সাজানো। এরপর দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে ম্যাথুজের ২৬ রানের জুটি। ম্যাথুজকে স্লিপে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসান মাহমুদ। ২৩ রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
হতাশাময় দিনে কিছুটা আশার সঞ্চার করেন হাসান। দিনের সেরা বোলার অভিষিক্ত এই পেসার। দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশকে রান পাহাড়ের নিচে চাপা দেওয়ার শুরুটা করেন নিশান মাধুশকা ও দিমুথ করুণারত্নে। প্রথম সেশনে উইকেটশূন্যই ছিল বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্নভোজের পর দ্বিতীয় সেশনেও উইকেটের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে স্বাগতিক বোলারদের। এই সেশনে দুই উইকেট নেয় বাংলাদেশ। যার একটি আবার রানআউট।
শুরুতে শ্রীলঙ্কা হারায় মাধুশকাকে। হাসানের থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৫৭ রান করেন এই ওপেনার। যদিও হাসানের বলে মাধুশকা আউট হতে পারতেন প্রথম সেশনের শুরুতেই। দ্বিতীয় স্লিপে তাঁর ক্যাচ মিস করেন মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের সময় তখন তাঁর রান মাত্র ৯। শেষ পর্যন্ত করুণারত্নের সঙ্গে তাঁর জুটি ভাঙে ৯৬ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশকে আরো ভুগিয়েছেন করুণারত্নে ও মেন্ডিস।
এই জুটিতে তাঁরা ১১৪ রান যোগ করেন। করুণারত্নেকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হাসান। এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে ছিলেন করুণারত্নে। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৮ চার ও ১ ছয়ে।
আগামীকাল ব্যাটিং শুরু করবেন চান্দিমাল ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। চান্দিমাল ৩৪ ও ধনঞ্জয়া ১৫ রানে ব্যাট করছেন।