অগ্রসর রিপোর্ট : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস গাজার হাসপাতালগুলোর ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, অকাল শিশুসহ আরও রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা এবং আল-কুদস উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে যে কাউকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার মানুষকে ভিতরে আটকে রেখেছে।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস বলেছে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের যে পরিস্থিতির মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তা অনিশ্চিত এবং অনিরাপদ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, হাসপাতালের রোগীদের যাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিরতি প্রয়োজন।
এদিকে ১২ নভেম্বর ম্যাক্সার টেকনোলজিস দ্বারা প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে গাজা উপত্যকার চারটি হাসপাতালের ক্ষতির পরিমাণ দেখা গেছে।
হাসপাতাল চারটি হলো গাজা শহরের আল-রিমাল জেলার আল-শিফা হাসপাতাল, তাল আল-হাওয়া জেলার আল-কুদস হাসপাতাল, পশ্চিম তাল আল-হাওয়া জেলার জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতাল, গাজা উপত্যকার বেইট লাহিয়ার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যদিও শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে এই সংখ্যা আপডেট করা হয়নি। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১২০০-এরও বেশি।