গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে গত ১৬ মে মঙ্গলবার জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সম্মেলন স্থলে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় চেয়ার ভাংচুরসহ চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং প্রেসক্লাবে এসে অবৈধ কমিটিকে বাতিলের দাবি জানান। অবিলম্বে দাবি আদায় না হলে জেলার জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে বলে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান হাসু, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামিনুর রহমান জামিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তরা বলেন, দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সিল অধিবেশনে জাতীয় শ্রমিক লীগ গাইবান্ধা জেলা কমিটির হায়দার-হাসু, মোহাম্মদ আলী-জামিনুর ও সুধাংশু কুমার-খায়রুল ইসলাম এই ৩টি প্যানেল উত্থাপিত হয়। শ্রমিকদের পক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানানো হলেও গাইবান্ধা-২ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি ও পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন সম্মেলন স্থান ত্যাগ করার পরেই নির্বাচন না করেই পূর্বের সভাপতি খায়রুল ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু কুমার রায়কে বহাল রেখেই নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়।
জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সভাপতি খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদ।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ-শামস-উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক ফারুক, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।