গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দুর্গম চরাঞ্চলেজঙ্গি আস্তানার খোঁজ, তালিকাভূক্ত আসামি এবং নৌ ডাকাত গ্রেফতারে ব্লক রেইড অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা। এ অভিযানে বিভিন্ন মামলায় পলাতক ও সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার রাত ৩টাথেকে চতুর্থ দিনের মতো ৬০ জনের সমন্বয়েসুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দা, বেলকাসহ বেশকিছু দূর্গম চরাঞ্চলে এঅভিযান শুরু করেসকাল পৌনে ৯টার দিকে অভিযান শেষ করেআইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা।
সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকুবলেন, ‘জঙ্গি আস্তানের সন্ধান ও তালিকাভূক্ত মামলার আসামি গ্রেফতার এবং নৌডাকাতি প্রতিরোধে চরাঞ্চলে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কোন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান না পেলেও চরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানার পলাতক ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন আসামি সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরগুলো জঙ্গি, বা জঙ্গি আস্থানা থাকতে পারে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়া নৌ ডাকাতের উপদ্রপ বাড়ে। তাছাড়া চরাঞ্চলে পানি থাকায় তালিকাভূক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধীরা এখানে আশ্রয় নেয়। এসব অপরাধীকে গ্রেফতারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল ফারুকেরনেতৃত্বেঅভিযানে জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সাঘাটা থানা পুলিশ ওকাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটেরসদস্যরা অংশ নেয়। এছাড়া অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক,সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে, গতমঙ্গলবার সদর উপজেলার মোল্লারচর ও কামারজানি ইউনিয়নের বিভিন্ন চর ও বুধবার ফুলছড়ি উপজেলা এবং শুক্রবার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন চর অভিযান চালায়আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এরমধ্যে অভিযানের প্রথম দিনে সদর উপজেলারমোল্লারচর ইউনিয়নের সিধাইল চরের মৃত্যু বাচ্চু মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী ওরফে শুকুর (২৮) নামে এক ডাকাতকে আটক করা হয়। তবে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া দুই উপজেলারঅভিযানেজঙ্গি আস্তানা বা কোন জঙ্গির সন্ধানও মিলেনি।