স্টাফ রিপোর্টার: মালয়েশিয়ায় বিস্ময় সৃষ্টি করে এগিয়ে চলছেই বাংলাদেশের ক্ষুদে ফুটবলাররা। একের পর এক জয় নিয়ে চলমান সুপার মক কাপ ফুটবলের ফাইনালে ওঠে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৩ দল। সেমিফাইনালে এএসএন ফিল্ডে ক্রোয়েশিয়ান ক্লাব ডায়নামো জাগরেবকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে জিহানরা। এর আগে শুক্রবার জিহানের জোড়া গোলে ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব করিন্থিয়ান্সের অনূর্ধ্ব-১৩ দলকে ২-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্লেট সেমিফাইনালে উঠেছিল ক্ষুদে দলটি।
এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৩ দল প্লেট রাউন্ডের ম্যাচে জিহানের জোড়া গোলে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন এস বি উইংগসকে। এর আগে বুধবার জাপানের ক্লাব গাম্বা ওসাকার জুনিয়রদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল অনূর্ধ্ব-১৩ দল। প্রথম ম্যাচে অবশ্য অনূর্ধ্ব-১৩ দল ২-২ গোলে ড্র করেছিল থাইল্যান্ডের বুরিরাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
অন্যদিকে মেব্যাংক একাডেমি মাঠে ফিলিপাইনের গ্লোবাল এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১২ দল। এর আগে তারা কোরিয়ার গিওজে কিম জিঙ উ দলকে ৬-১ গোলে হারানো দলটি মালয়েশিয়ার জিওনসার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল। প্রথম ম্যাচে তারা ২-১ গোলে হেরেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শিনডাপের কাছে। ফলে অনূর্ধ্ব-১৩ দল ফাইনালে উঠলেও গ্রুপ পর্বে ৫ দলের মধ্যে তৃতীয় হওয়ায় প্লেট পর্বে খেলতে হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১২ দল।
এর আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর অনূর্ধ্ব-১৩ দলের ম্যানেজার মানস চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য টুর্নামেন্টের প্লেট ট্রফি অর্জন করা।’ ফাইনালে ওঠে দলটি যেন লক্ষ্যের শেষ প্রান্তে চলে আসল।
২৫ বছর আগে ১৯৯০ সালে ডানা কাপ এবং গোথিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ দল। দুই আসরে বাংলাদেশের ক্ষুদে ফুটবলাররা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স এবং স্পেনের বয়সভিত্তিক দলকে হারিয়েছিল। বিদেশের মাটিতে বখতিয়ার-রানা-সেলিম-মাসদুরা উড়িয়েছিলেন লাল-সবুজের পতাকা। অবশ্য অতিরিক্ত বয়সের ফুটবলার খেলানোর অভিযোগ থাকায় ট্রফি দুটিতে কিছুটা হলেও কালো দাগ পড়েছিল। তবে তা বাংলাদেশের ফুটবলের উৎসব-জাগরণে বাতাসেই মিলিয়ে গিয়েছে।
আবার তেমন এক আশা জাগানিয়া মাহেন্দ্রক্ষণের আবহ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৩ দল। আর মাত্র ১টি ম্যাচে জয়ী হতে পারলেই মালয়েশিয়ায় ক্রিকেটের পর আবারও উড়বে লাল-সবুজের পতাকা।