অগ্রসর রিপোর্ট : সরকারদলীয় ও গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মরদেহ থেকে ৫টি গুলি বরে করা হয়েছে। তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে এই তথ্য জানান ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান ও রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
আজ রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে লিটনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এর পর নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, লিটনের দেহ থেকে ৫টি গুলি বের করা হয়েছে। কিডনি, ফুসফুস থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
পরে লিটনের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তও করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যরা হলেন ডা. খায়রুল ইসলাম ও ডা. রেজাউল করিম।
এর আগে হাসপাতালের হিমঘর থেকে এমপি লিটনের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামে লিটনকে তার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাতেই ১০ জন আটক করে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় জানানো হয়নি।
৪৮ বছর বয়সী লিটন এবারই প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) ছিলেন; আনন্দ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকও ছিলেন তিনি।
এক শিশুকে গুলি করে এক বছর আগে দেশজুড়ে সমালোচিত হন এমপি লিটন। ওই ঘটনায় গত বছর গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন কারাগারে থেকে জামিনে ছাড়া পান তিনি।
লিটনের দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে সন্দেহ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুনিদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।