অগ্রসর রিপোর্ট:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘যেখানে আমাদের হাত পেতে চলতে হতো, সেখানে এখন আমরা অন্য দেশকে সহযোগিতা করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে নৌ পুলিশের আয়োজনে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘ইলিশ উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ প্রথম। সবাই মিলে চাঁদপুরের ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে। তাদের ওপর হামলা দুঃখজনক। এটি দণ্ডনীয় অপরাধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সম্পদ বিনষ্টে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আনতে হবে। কারণ, আগে রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা জরুরি। জেলেদের পেছনে যেসব প্রভাবশালী বা বিত্তশালীরা রয়েছে, তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
মানবাধিকারের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘এত বড় বড় দেশ আমাদের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অথচ মানবাধিকার কাউন্সিলে আমরা সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। এটি কেউ দয়া করে দেয়নি। এটি বাংলাদেশের যে অবস্থান, সম্মান, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমনে, সন্ত্রাস দমনে, জঙ্গিবাদ দমনে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে এবং জনগণের ক্ষমতায়নে যে ভূমিকা রেখেছে সেই কারণে।’
বাংলাদেশ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর এটা গর্বের বিষয়। এই সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সকলের। সরকার কারও কাছে মাথা নত করে না। সরকার তার আইন বাস্তবায়নে কঠোর। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। পুলিশ সরকারের আইন বাস্তবায়ন করে। আগামীতে শুধু জেলে নয়, যারা তাদেরকে নদীতে পাঠায় তাদেরচিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তাই এখনও সময় আছেম সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুরের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।
মতবিনিময় সভা শেষে বড় স্টেশন মোলহেড থেকে একটি নৌ-র্যালি বের হয়ে হাইমচর উপজেলার নীলকমল পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। #