অনলাইন ডেস্ক- অবৈধভাবে পাচারের সময় অন্তত ৩০ জন বাংলাদেশী ও ভারতীয়কে উগান্ডায় উদ্ধারের পর পুলিশ তাদেরকে এখন নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। তাদের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশী আর ১০ জন ভারতীয়। পুলিশ বলছে, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তিদের পরিবারই তাদের বিমানের টিকেটের খরচ দিয়েছে। এখন তাদের ভ্রমণের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করছে ভারত ও বাংলাদেশের দূতাবাস।
রাজধানী কামপালা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশী গ্রুপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে গত জুলাই মাসে। কিন্তু কতোদিন ধরে তারা উগান্ডাতে আছেন সেটা এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে উগান্ডায় বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া এ সব লোকজনের কেউ কেউ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে আনা হয়েছে। তারা জানান, উগান্ডা তাদের গন্তব্য ছিলো না। এই দেশটিকে রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। এ রকম আরো ৭০ জনকে উদ্ধারের জন্যে তাদের খোঁজ খবর করার চেষ্টা করছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন পাচারকারী দলের প্রধানের স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এই পাচারের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আরো তিনজনকে খুঁজছে। ভারতীয় দলের সদস্যরা জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকে পাচারকারীদেরকে ২,০০০ থেকে ২,৫০০ ডলার করে দিয়েছেন। তাদেরকে দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান এবং গৃহযুদ্ধ কবলিত দক্ষিণ সুদানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। দু’মাস আগে পাচারকারীরা তাদেরকে ফেলে চলে গেলে তারা রাজধানী কামপালার একটি হোটেলে আটকা পড়েন।