স্টাফ রিপোর্টার: এমএসএন (মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার) ত্রয়ীর নৈপুন্যে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেটকে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল কাতালানরা, আর কোনো দলই তিনবার এ শিরোপা জিততে পারেনি। এর আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালে ক্লাব বিশ্বকাপ জয় করেছিল বার্সেলোনা।
জাপানের ইয়োকোহামার নিসান স্টেডিয়ামে রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ইনজুরি কাটিয়ে মেসি ও নেইমার দলে ফেরায় শুরুতেই আত্নবিশ্বাসী ছিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে নেমে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বজায় রাখে বার্সা। রিভার প্লেটের সীমানায় মেসি, নেইমার আর সুয়ারেজের আক্রমণ ছিল অপ্রতিরোধ্য।
ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা মেসি ১১তম মিনিটেই ডি বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোলের চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক বারোভেরোকে বোকা বানাতে পারেননি। ৩৩তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিক কর্নার করে গোল ঠেকান রিভার প্লেট গোলরক্ষক। কিন্তু এরপরও দুরন্ত মেসিকে গোলবঞ্চিত করতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে ডান দিকে দানি আলভেসকে বল বাড়িয়ে দিয়ে ডি বক্সে ঢুকেন মেসি। আলভেসের ক্রস থেকে নেইমার হেড করে বল ফেরত দেন মেসিকে। আর বল পেয়েই রিভার প্লেটের তিনজনের ফাঁক গলে বাম পায়ের শটে জালে বল জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি সুয়ারেজ।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্নক খেলা শুরু করে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সা। সেমিফাইনালের হ্যাটট্রিককারী সুয়ারেজ ৪৯ মিনিটে সার্জিও বুসকেটসের পাস থেকে মাঝমাঠে বল পেয়ে দ্রুতগতিতে ডি-বক্সের কাছ থেকে জোরালো শটে বার্সার দ্বিতীয় গোলটি করনে। দুই মিনিট পর নেইমারের পাস থেকে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে পোস্টে শট নিলেও গোলরক্ষককে অতিক্রম করতে পারেননি মেসি। তবে ৬৮ মিনিটে নেইমারের দারুণ এক ক্রস থেকে হেড দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন সুয়ারেজ। আর টুর্নামেন্টে ৫ গোল করে সেরা খেলোয়াড়ের গৌরবও অর্জন করেছেন এ উরুগুয়ান তারকা।
তবে ৬১ ও ৬৪ মিনিটে বার্সার গোলবারে জোরালো আক্রমণ করে রিভারপ্লেটও। ৭৬ মিনিটেও রিভার প্লেটের আলারিও হেড থেকে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বার্সা গোলরক্ষক ব্রাভো অসাধারণ দক্ষতায় জাল আটকে রাখেন। ৮৩ মিনিটে আবারও আলারিও বামপায়ের দুরন্ত শট নিয়েছিলেন পোস্টে, কিন্তু বার্সা গোলরক্ষক তা প্রতিহত করেন। এ ছাড়া ৮৪তম মিনিটে রিভার প্লেটের মিডফিল্ডার গনসালো মার্তিনেসের একটি শটও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে ম্যাচটি শেষ হয়েছে ৩-০ ব্যবধানেই।
এর আগে সেমিফাইনালেও সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে চীনের গুয়াংজো এভারগ্রান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বার্সা। ক্লাব বিশ্বকাপ জয় ছাড়াও ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সা লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ চারটি কাপ জিতেছে বার্সা।