নয়াবার্তা রিপোর্ট ॥ শুরুটা বাদ দিলে ম্যাচের বাকিটা বাংলাদেশের জন্য ছিল একের পর এক উদযাপনের মুহূর্ত।
একটা ঢাক ঢাক গুড়গুড় কদিন ধরেই বাজছিল। অনুশীলনে, মাঠে কি সংবাদ সম্মেলনে, আফগান অধিনায়কের বুকের ছাতিটা বেশ চওড়াই ঠেকছিল। ম্যাচের আগে প্রচ্ছন্ন হুমকিই। বিশ্বকাপ অভিষেকে কিছু একটা করে দেখানোর প্রত্যয়ে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামা আফগানরা শুরুতে সিঁদুরে মেঘটাও দেখাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তর্জন-গর্জনই সার। আজ বাংলাদেশ আফগানদের চোখ থেকে রঙিন চশমাটা হ্যাকচা টানে খুলে ফেলে সাদাকালো দুনিয়াটা দেখিয়ে দিল। বুঝিয়ে দিল, কোথায় আফগানিস্তান আর কোথায় বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ের ব্যবধানটা যে ১০৫ রানের!
আফগান-জুজুর কারণেই কিনা শুরুতে খোলসবন্দী বাংলাদেশকে শেষে খোলসছাড়া করলেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সেরা দুই ব্যাটসম্যানের যুগলবন্দী বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনল খেলায়। ২৬৭ রানের সংগ্রহে আফগানদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে মাশরাফি-রুবেল এনে দিলেন দুর্দান্ত শুরু। মাঝখানে তাসকিন-মাহমুদউল্লাহ। আর নটে গাছটি মুড়িয়ে দিলেন সাকিব।
ক্রিকেট দলকে হাসিনা-খালেদার অভিনন্দন ঃ ১৬২ রানে অলআউট হয়ে বাস্তবতার জমিনে নেমে এল আফগানিস্তান। শেষ অবধি বাংলাদেশের জয়ের ধরনটাই চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিচ্ছে, ক্রিকেটে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে এখনো ঢের বাকি আফগানদের। দলটি সম্ভাবনাময় হতে পারে, প্রতিভায় দেদীপ্যমান হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের তুলনায় তাদের অবস্থানটা অনেক পেছনেই।
জয়ের ভিতটা প্রথমে তৈরি করেছিলেন সাকিব ও মুশফিক।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।