বিচারিক আদালতে অবিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে আজ সোমবার হাইকের্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
২০১৩ সালের ৫ মে রাতে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে ডানপন্থিদের সমর্থনপুষ্ট অধিকারের এক প্রতিবেদনে বলা করা হয়।
অধিকারের কাছে ‘নিহতদের’ নাম-পরিচয় চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হলেও অধিকার তথ্য দিতে অস্বীকার করে। ওই বছরের ১০ আগস্ট আদিলকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। পরে আদিল জামিনে মুক্তি পান।
আর সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এলানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে একই বছরের ৬ নভেম্বর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে এলানও জামিনে মুক্তি পান।
মতিঝিলে হেফাজতবিরোধী অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতি, অসত্য তথ্য উপস্থাপন, ফটোশপের মাধ্যমে ছবি বিকৃত করে অধিকারের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা এবং জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানোর মতো অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
মামলায় বলা হয়, ওই কাজের মধ্য দিয়ে তারা রাষ্ট্রের প্রতি ষড়যন্ত্র এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনের কয়েকটি ধারায় অস্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টিরও অভিযোগ আনা হয় আদিল ও এলানের বিরুদ্ধে। পরদিন ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম ।
দুই আসামি এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ আসে। সোমবার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওই আপিল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।