মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেন এবং জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৩১টি বিদ্যালয়ের পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী যোগদান করবে। এর আগে এনসিটিবি চেয়ারম্যন অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাসসকে জানান, সরকার ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করবে।
তিনি জানান, সারাদেশে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন ইবতেদায়ী, দাখিল, দাখিল কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, এই প্রথমবারের মতো শিক্ষকদের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নপত্র পদ্ধতি সমাধানের গাইড লাইন প্রকাশ করে তা সরবরাহ করা হয়েছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ৬০ লাখ ১ হাজার ২৪টি ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪টি গাইড বই তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছিল।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, গত ৮ বছরে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করছে, যা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করছে।