অগ্রসর রিপোর্ট: দেশে ধারাবাহিক কমছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ ধারাবাহিকতায় আজ ফের করোনায় মৃত্যুশূন্য বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে করোনায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১১৮ জনেই থাকল। এক দিন আগে বৃহস্পতিবারও করোনয় মৃত্যুশূন্য ছিল বাংলাদেশ। এর আগে মঙ্গলবার দেশে করেনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। আর চলতি মাসের মধ্যে ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখ মৃত্যুহীন থাকে বাংলাদেশ। এরপর আবার ১৯ ও ২০ মার্চও মৃত্যুশূন্য থাকে দেশ।
এদিকে গত এক দিনে ১০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর উল্লেখিত সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৬৮ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাতে শনাক্ত হন ১০২ জন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১.০৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৭টি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ২৬৮ জন। এ নিয়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৮ জনে।
২০১৯ সালের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যু হয় একই বছরের ১৮ মার্চ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। পরে করোর সংক্রমণ কমতে থাকে। তবে গেল বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। জানুয়ারির শুরু থেকেই দেশে বাড়তে থাকে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার। ২৮ জানুয়ারি আগের সব রেকর্ড ভেঙে শনাক্তের হার হয় ৩৩.৩৭ শতাংশ। শনাক্ত হন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে ফেব্রুয়ারি শেষের দিকে এসে শনাক্তের হার নেমে আসে পাঁচের নিচে। কমে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।