স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ দেশের আরো উন্নয়নে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য বেসরকারি ব্যাংকসহ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ এবং দেশের আরো উন্নয়নে আমরা একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকসহ বেসরকারি উদ্যোক্তারা অবদান রাখতে পারেন।
আজ সন্ধ্যায় গণভবনে শীতার্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর কাছ থেকে কম্বল গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিএবি’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারও বক্তৃতা করেন। এ সময় সমিতির অধীন ৩২টি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে দেশের গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক আকারে বিনিয়োগের জন্যও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কোন নির্দিষ্ট এলাকায় নয়, সারাদেশে আমরা উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে চাই। তাই আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণ এবং নদী খননের পাশাপাশি ব্যাপক শিল্পায়নে দেশব্যাপী একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি।
প্রধানমন্ত্রী এলাকাভিত্তিক বিনিয়োগের ওপর আলোকপাত করার জন্যও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় বিনিয়োগে এবং আপনার এলাকার প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দিতে হবে।
শেখ হাসিনা স্থানীয় ও রফতানি চাহিদা বিবেচনা করে দেশে আরো কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের উদার বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, গরিব জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকসহ বেসরকারি উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দায়-দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই না দরিদ্র জনগণের অনুদানের কম্বল গ্রহণের প্রয়োজন হোক। আমরা চাই ভবিষ্যতে তারা কম্বল ক্রয়ের ক্ষমতা অর্জন করুক।
বেসরকারি খাতের বিকাশে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর টেলিভিশন চ্যানেল, টেলিফোন এবং ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে দেশের সকল খাত এগিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দেশ ইতোমধ্যে সেঞ্চুরি করেছে। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁর সরকার অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নেও পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর সরকারের পায়রা স্থলবন্দর নির্মাণ এবং নদী খননের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।